ঢাকাবুধবার , ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

মদনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে চিকিৎসা সেবা 

admin
জানুয়ারি ২৪, ২০২৪ ৫:৩২ অপরাহ্ণ । ৭৯ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শহীদুল ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ হাওর অধ্যুসিত এলাকা হিসাবে পরিচিত নেত্রকোনার মদন উপজেলাটিতে ২০২১ সালের পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় ১,৫৪,৪৭৯জনের বসবাস তার মধ্যে পুরুষ ৭৭,৭৬৩ জন, মহিলা ৭৬,৭১৬ জন। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই চলছে চিকিৎসাসেবা। কাগজ পত্রে ৫০শয্যার হাসপাতালটিতে কার্যক্রম চলছে মাত্র ১৯ শয্যায়। ৩১ শয্যার ভবনটি পরিত্যাক্ত ও যুকিপূর্ণ অবস্থায় পরে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই এই ভবনেই স্থানীয় রোগীরা চিকিৎসা সেবা আসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ঝুঁকিপূর্ণ থাকার পরেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছেন না। ফলে ঝুঁকিতেই সেবা নিতে হয় হাওর ও জনপদের মানুষ। এতে সেবা  দেওয়া কিছুটা ব্যহত হচ্ছে স্বীকার করেন চিকিৎসকরাও।
  তথ্য নিয়ে জানা যায়, হাওরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে জন্য  ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৩১শয্যা বিশিষ্ট মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি। কিন্তু গত প্রায় এক দশক ধরে দেয়াল ধসে পড়াসহ জরাজীর্ণ অবস্থায় প্রায়ই মাঝে মাঝে খসে পড়ছে প্লাস্টার। মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে সেবা নিতে আসা রোগীসহ স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের সেবা দানকারী সকলেই। এদিকে গত ২০১৫ সালে সেবার মান উন্নীত করণের লক্ষ্যে ৩১থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করতে ১৯ শয্যার নতুন ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে  ওই ভবনে চলছে সকল কার্যক্রম।
এদিকে ঝুঁকি নিয়েই সেবা নিতে আসছেন দূর দূরান্তের রোগীরা। এখানে পার্শ্ববর্তী আটপাড়া খালিয়াজুরী ও কেন্দুয়া উপজেলার মানুষও আসেন সেবা নিতে।
 ডাক্তার সংকট যে কয়জন আছেন তারাও রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। আতঙ্কে রোগীরা কর্তৃপক্ষের নেই কোন দৃষ্টি। ৩১শয্যার ভবনটি পুরোপুরি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়েছে। দ্রুত এর ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
এছাড়া চিকিৎসকরাও ঝুঁকিতে থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ নূরুল হুদার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সাজ্জাদুল হাসান স্যারের  সহযোগিতায় বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী এস,এম তানভীর আহম্মেদ স্যারের মাধ্যমে গত ৩-৪ মাস হলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আশা করছি কিছু দিনের ভিতরে সুখবর পেতে পারি। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হলে সেবা দেয়া নিয়ে আর কোনো ঝামেলা থাকবেনা।