মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ ২৮ অক্টোবর পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা আমীর মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি।
এদেশের জামাত-বিএনপি যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সে ব্যবস্থা তিনি করেছেন। খুন,গুম, মামলা-গ্রেপ্তার করে হাজার হাজার পরিবারকে ধ্বংস করেছেন। দেশটা যেন তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত হয় সে ব্যবস্থা তিনি করেছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরশহরের আজাদমোড়ে উপজেলা শাখা, দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা জামায়াতে ইসলামের আয়োজনে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, শেখ হাসিনা এ ১৬ বছরে শুধুমাত্র অন্যান্য দলের সঙ্গে প্রতিশোধ নেননি, জামায়াতকে নিষিদ্ধও করেছিলেন। কিন্তু এ ফ্যাসিবাদি, স্বার্থবাদী হাসিনা সরকার শুধু নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে একা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বাংলাদেশ কোনো দেশের দাসত্ব করবে না। এ দেশে মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ড হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। বিপ্লবকে ছিনতাই করার পাঁয়তারা চলছে। আমাদের অতীতের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সব নেতাকর্মীসহ দেশের সাধারণ জনগণকে সজাগ ও সোচ্চার থাকতে হবে। শেখ হাসিনা এবং তার দোসর- যারা এ দেশে গুম, খুন, করেছে এ দেশের অর্থ বিদেশে যারা পাচার করেছে।
ছাত্র আন্দোলন নিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের সন্তানেরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে। সে অর্জন যতটা কঠিন হয়েছে তার থেকে বড় কঠিন অর্জন ধরে রাখা। তাই এ বিজয় ধরে রাখতে মানুষকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় পৌর জামায়াতের আমীর মো.আমিনুল ইসলাম সেলিম এর সঞ্চালনায় উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. মোফাখখায়ের ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা নায়েবে আমীর ডক্টর মহাদ্দীস এনামূল হক, জেলা সহকারী সেক্রেটারী মো. হাফিজুল ইসলাম, জেলা পেশাজিবী সেক্রেটারী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা নায়েবে আমীর মো. আজিজার রহমান, উপজেলা সেক্রেটারী ইমরান হোসেন, উপজেলা ইসলামি ছাত্র শিবিরের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সহ অনেকে। শেষে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২৮ অক্টোবর সহ সকল শহীদের জন্য দোয়া করা হয়।