ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

কেন্দুয়ায় দোকান দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশত আহত

আজকের বিনোদন
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ ১:৩৩ অপরাহ্ণ । ৩০ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহিউদ্দিন সরকার প্রতিনিধিঃ কেন্দুয়া নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক রাত সাড়ে আটটায় কেন্দুয়া পৌর শহরের মধ্য বাজারে দিগদাইর ও বাট্টা গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মধ্য বাজারের আলিফ টেলিকম দোকানের জায়গা নিয়ে দিগদাইর গ্রামের যুবলীগ নেতা আল আমিন খন্দকারের সাথে বাস স্ট্যান্ডের মৃত আয়ত আলীর দীর্ঘদিনের সমস্যা বিরাজমান ছিলো । এতোদিন সালিস-দরবার ও আলোচনার মাধ্যমে মৃত আয়ত আলীর পরিবারের দখলেই ছিলো এই দোকান। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) যুবলীগ নেতা তার দল-বল নিয়ে আলিফ টেলিকমের ব্যবসায়ী হানিফকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা লাগায় । পরে (১৮ সেপ্টম্বর) দোকান ব্যবসায়ী হানিফ ও মূল মালিক জামাল ভূঁইয়া বাট্টা গ্রামের মাতব্বর মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁঞাকে জানিয়ে দোকান খুললে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ । এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয় । এদের মধ্যে ছিলিমপুর গ্রামের আনছার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫১), মৃত আঃ কদ্দুসের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), সাউদপাড়ার ফকির চানের ছেলে বাবু, বাট্টার লিটন মিয়ার ছেলে রনি (২২), দিগদাইরের হান্নান খন্দকারের ছেলে শাওন (৩৩), কান্দিউড়ার আনছার উদ্দিনের ছেলে বাবর(২৭)সহ ৬জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক । এছাড়াও ২০/৩০ আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়োজিত ডাক্তার ।

মোঃ আয়ত আলীর ছেলে এডভোকেট সোহেল আমিন বলেন, দীর্ঘদিনের এ সমস্যা আমরা ক্রয় সূত্রে এ জমির মালিক । আল আমিন দোকানে তালা লাগিয়ে দিলে আমার মামা জসিম ভূঞাকে জানালে উদ্ভূত পরিস্থিতির তৈরি হয় ।

ব্যবসায়ী মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, আমি কিছু অংশ ক্রয় করেছি ও কিছু অংশ ভাড়া নিয়েছি । ইদানীং দোকানের সংস্কারে কাজ করছিলাম । আল আমিন এসে জোর মূলে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় ।

মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁঞার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই সমস্যা নিয়ে একাধিক দরবারে আমি ছিলাম । ইদানীং আল আমিন দোকানে তালা দিলে সোহেল আমিনের মামা জামাল ভূঁইয়া বিষয়টি আমাকে জানালে, আল আমিনকে ডেকে কথা বলতে চাইলে এই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় ।

আল আমিন খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার দলিল, খারিজ-অনলাইন নিবন্ধন রয়েছে । ক্রয় সূত্রে আমি ৩০ পয়েন্ট জায়গার মালিক প্রায় ১৩ বছর যাবত আমি বুঝে পাচ্ছিলাম না । অবশেষে আমার জায়গা দখলে গেলে বিপরীত পক্ষ বাট্টার জসিম ভূঞাকে জানালে তিনি আমার বাধা হয়ে দাঁড়ায় । এরপর তর্কাতর্কি থেকে মারামারি-হানাহানি সৃষ্টি । আমিসহ ১০/১২ জন আহত হয়েছি আমরা । এখানে রাজনৈতিক কোন বিষয় জড়িত নয় ।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয় নি । পুলিশ ও সেনা সদস্যের সমন্বয়ে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । আহত হয়েছে প্রায় ২০/৩০ জন ।