বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় মিজান সমর্থকরা লেদু মিয়া নামে একজনকে হাসপাতালে পিটি হত্যা করেছে।
সোমবার রাতে সদর উপজেলার গোকুল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানের স্বজনরা দাবি করেছেন, গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের বহিস্কৃত সভাপতি বিপুল বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ জানায় নিহত মিজানুর রহমান বগুড়া সদরের গোকুল এলাকার আফসার আলী সাকিদারের ছেলে। তিনি অস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন। তার সাথে একই এলাকার বহিস্কৃত যুবদল নেতা বিপুলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে দু’পক্ষের বিরোধের জেরে একটি হত্যাকান্ড হয়।
সোমবার রাতে মিজান গোকুল এলাকায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সবুজের অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৮/১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত অফিসে ঢুকে মিজানকে কুপিয়ে চলে যায়। প রে সে মারা যায়।
এ সময় মিজান পক্ষের লোকজন হত্যায় জড়িত সন্দেহে প্রতিপক্ষের লেদু নামে একজন মারপিট ও কুপিয়ে আহত করেন।
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে মিজান পক্ষের লোকজন আবারো তাকে মারপিট করলে রাত ১১টার লেদু মারা যান।
স্থানীয়রা আরো জানান, নিহত লেদু প্রতিপক্ষ বিপুল গ্রুপের। তিনি একই এলাকার বুলু মিয়ার ছেলে।
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবু হাসান জানান, মিজানুর রহমান তার সংগঠনের প্রাণ ছিলেন। তার সাথে বহিস্কৃত যুবদল সভাপতি বিপুলের বিরোধ চলে আসার বিষয়টি সকলে জানে। ওই বিরোধের জের ধরেই মিজানকে হত্যা করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।