প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ১২:২৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ১২, ২০২৪, ৪:১১ পূর্বাহ্ণ
নদী ভাঙন আতংকে রায়পুরে কয়েক হাজার মানুষ
মাহমুদুন্নবী সুমন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মেঘনা নদীর উপকূলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার তিন ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শতাধিক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভাঙন এতই তীব্র যে নদীপাড়ের মানুষ তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সুযোগও পাচ্ছে না। মেঘনার পানি উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী এলাকার মিয়ারহাট (রাহুল ঘাট) পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের কাঠমা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া, মোল্লারহাট, পানির ঘাট, চরইন্দ্ররিয়া, চরঘাসিয়া ও জালিয়ার চর গ্রামের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি এবং আলতাফ মাস্টার ঘাট এলাকা মেঘনায় বিলীন হয় গেছে। এ কারণে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
ভাঙনের কারণে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, শতাধিক বাড়িঘর ও শত শত হেক্টর ফসলি জমি যেকোনো সময় মেঘনায় বিলীন হয়ে যেতে পারে। ওই এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি-জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
চরকাছিয়া গ্রামের সরদার মাঝি ও মফিজ জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বাড়তে থাকে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। পানি কমলে পাড় জেগে ওঠে। ওই সময় নদীভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের মিয়ারহাট, রাহুল ঘাট, পানির ঘাট, হাজিমারা ও চরকাছিয়া গ্রামে মেঘনার ভাঙন বেড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ খেটে খাওয়া। তারা ত্রাণ বা অন্য কোনো সাহায্য চান না। তারা নদীভাঙন রোধে একটি স্থায়ী সমাধান চান। এতে নিজ বাড়িতে বসবাস করে নিজের জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।’
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুখ আহম্মেদ বলেন, ‘ভাঙন রোধে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। জিও ব্যাগ ফেললে অনেক স্থাপনা রক্ষা পাবে। এই এলাকাটির ভাঙন ঠেকাতে প্রকল্প হাতে নেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।’
Copyright © 2024 . All rights reserved.