ফাহাদ ইবনে হাশেম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অবৈধভাবে বিভিন্ন বনজ গাছ কেটে ওপুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
৩০ জুন (রবিবার), সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টেএ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ ফরহাদুল আলম তার লিখিতবক্তব্যে জানান, আমি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দয়ারপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা হই। পক্ষান্তরে মোহাম্মদ সাহাব উদ্দীন, মোঃএকরামুল হক, রওশন আক্তার, সর্ব পিতা: মৃত হাছি মিয়া, সর্বসাং-দয়ার পাড়া, ১নং ওয়ার্ড, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম আমাদেরপ্রতিবেশি হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাহাদের সাথে আমাদের বিরোধ চলমানরয়েছে এবং মহামান্য হাই কোর্টেও মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তুকোর্ট নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আইন অমান্য করে তৃতীয় পক্ষপ্রভাবশালী ডাঃ জামাল হোসেন টাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহকার করেবিরোধ থাকা জায়গাগুলো তার দাবী করেন এবং ধাপে ধাপেআমাদের উপর বিভিন্ন মাধ্যমে হামলা ও মামলার হুমকি প্রদানকরেন। ডাঃ জামাল হোসেন একজন আইন অমান্যকারী লোক হয়।নিলাম খরিদার আবদুর রশিদ তপশীলোক্ত জমি বিগত ১৩/০৫/১৯৪২ইং তারিখের ১১২৬ নং কবলা মূলে আমার দাদা নুরআহামদকে ৬২২ শতক জমি বিক্রয় করেন। আমার দাদা নুরআহামদ মরণে আমার পিতা ও ফুফু সমশুল ইসলাম ও মমতাজবেগম ওয়ারিশ হিসেবে তপশীলোক্ত জমি প্রাপ্ত হয়। এখানে আমাদেরশতবছরের পুরনো বসতগৃহ ও পুকুর রয়েছে। তাহায় আমরা পরিবারপরিজন নিয়া বসবাস করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯জুন ২০২৪ইং তারিখ সকাল ৮:৩০ ঘটিকার সময় আসামী ডাঃজামাল হোসেনের নির্দেশে ২০-৩০ জন সন্ত্রাসীর সহযোগিতায়আমাদের পুকুর থেকে মাছ লুট ও বিভিন্ন বনজ কয়েক লক্ষাধিকটাকার গাছ কেটে ফেলেন। পরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেউপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করি। উক্ত বাধা প্রদান করার সাথে সাথেইতাহারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাটিসোটা ও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করতেআসেন। নিজেদের আত্মরাক্ষার জন্য আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে৯৯৯ ফোন দিয়ে প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করি এবং বিষয়টি নিয়েতাৎক্ষণিক আমি ফরহাদুল আলম বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধেলোহাগাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযুক্তরা হলেন, ১। ডাঃ জামাল হোসেন (৫৫), ২। কামাল উদ্দিন (৫০), উভয় পিতা:মৃত আজিজ আহমদ, সাং-টেন্ডল পাড়া, ০২ নং ওয়ার্ড, ৩। কামালউদ্দি (৫৫), পিতা-মৃত আব্দুল হাফেজ, ৪। আবুল কালাম (৪৮), পিতা-আঙ্গার মিয়া, ৫। মোহাম্মদ রুবেল (৩৫), পিতা-কামালউদ্দিন, সর্ব সাং-দয়ার পাড়া, লট্ট্যার বর ভিটা, ০১নং ওয়ার্ড, সর্বইউপি-লোহাগাড়া, থানা: লোহাগাড়া, জেলা: চট্টগ্রাম। অজ্ঞাতনামাআরও ১০/১৫ জন রয়েছে।
ভুক্তভোগী ফরহাদুল আলম আরও বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরাআপনারা হলেন জাতির বিবেক, আমি একজন এদেশের সাধারণনাগরিক হিসেবে সকল সত্যতা দেশবাসী ও সুধী সমাজের কাছে তুলেধরতে আপনাদের দারস্থ হয়েছি। আশা করছি আপনাদের লেখনিরমাধ্যমে তা প্রকাশিত হবে এবং আজকের সংবাদ সম্মেলনেআপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই আদালতে মামলা চলাকালীন সত্তেওআইন না মেনে আমাদের বাড়ির পুকুরের মাছ ও গাছ লুট করে নিয়েযাওয়ায় তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মাননীয় আদালতসহ সকলের কাছে সুষ্টু ও ন্যায় বিচার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও উপজেলারবিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া ও টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মরতসংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।