ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

ছাগলকান্ডে অবশেষে ইফাতের পরিচয় পাওয়া গেলো

আজকের বিনোদন
জুন ২০, ২০২৪ ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ । ৫৬৮ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশিকুর রহমান :-

রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় ছাগলকান্ডে রীতিমতো ভাইরাল হওয়া মুশফিকুর রহমান ইফাত এখন দেশব্যাপী আলোচনার তুঙ্গে। তাঁর বাবার নাম রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলা হলেও ইফাতের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই বলে দাবী করেন মতিউর রহমান। সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন মিডিয়া থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ দাবী করে আসছেন। তাঁর এ দাবীর সত্যতা যাচাই করতে গেলে বের হয়ে আসে ইফাতের আসল পরিচয়। ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী নিজেই ইফাতের আসল পরিচয় দেন। এমপি নিজাম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ইফাত তাঁর মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা। তিনি আরও বলেন, ইফাত রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। আমি ধারণা করছি রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। মতিউর রহমান নিয়মিত দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন।
এদিকে নিজেকে বাঁচাতে মতিউর রহমান বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন, ছাগলকান্ডে ভাইরাল হওয়া ওই ছেলেকে আমি চিনি না এবং আমার ছেলে নয়। তার সাথে আমার কোনো আত্মীয় সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। আমাকে জড়িয়ে এ ধরনের অপপ্রচার করায় আমি ও আমার পরিবার বিব্রত।
এদিকে মতিউর রহমানের খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, তিনি রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি’র স্বামী। ইফাত রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার ১টি ছাগলের সঙ্গে তিনি আরও ৪টি গরুও কিনেছেন ৩৭ লাখ টাকায়। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কোরবানী কিনেছেন এই মতিউর এর ছেলে ইফাত। সে গত কোরবানীতেও প্রায় ৬০ লাখ টাকার পশু ক্রয় করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাদের কাছে বিক্রি করা এক বিক্রেতা। এতো টাকায় কোরবানী পশু কিনলেও এর আগে আলোচনায় আসেননি তিনি। কিন্তু এবার ১৫ লাখ টাকায় রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে একটি ছাগল কিনে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় ওঠে। রাজধানী ঢাকায় মতিউর রহমানের স্ত্রী সন্তান, আত্মীয়দের নামে-বেনামে একাধিক প্লট রয়েছে। এছাড়াও নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপরে গড়ে তুলেছেন ওয়ান্ডার পার্ক নামে আলিসান রিসোর্ট। স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এত টাকার মালিক কিভাবে হয়? ১৫ লাখ টাকা দিয়ে যেব্যক্তি একটা খাশি কিনে পারে, এতেই বুঝা যায় তারা কি পরিমাণ টাকার মালিক হয়েছেন। আর এসব অবৈধ টাকার বিনিময়েই নিজের স্ত্রীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তারা আরও বলেন, এবার দেখার পালা দুদক তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্হা নেয়।
এবিষয়ে জানতে, লায়লা কানিজ লাকি’র মোবাইল ও হোয়াইটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।