ঢাকাবুধবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

মাদক-মানবপাচার ও অপহরণ বাণিজ্য টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র উঁচিয়ে বেড়ান সন্ত্রাসীরা!

আজকের বিনোদন
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪ ২:৪৩ অপরাহ্ণ । ৩২ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বাড়ছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার। এখানে দলগত সশস্ত্র তৎপরতা, মাদক-মানবপাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ বাণিজ্য ও দোকান-ভূমি দখল থেকে শুরু করে তুচ্ছ ঘটনায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। ক্যাম্পে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ ও ক্ষমতা বিস্তারে দেশীয় নানা অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। দিবানিশি প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে বেড়ান অবৈধ অস্ত্রধারীরা। যদিও আইনশৃংখলা বাহিনী খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধার অভিযান চালিয়ে অস্ত্র গুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তারপরও প্রতিনিয়ত ক্যাম্প অভ্যন্তরে বহু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়ায় বলে খবর পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের সময় বিস্ফোরকসহ ওসব ভারী অস্ত্র নিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা এলাকাবাসীর। রোহিঙ্গা জনগোষ্টীর পাশাপাশি ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা ও স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে থাকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন সাধারন লোকজন। নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরধরে খুনের শিকার হয়েছেন অনেকেই। এসব ঘটনার জের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও করেছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের যোগান দিতে ক্যাম্পের আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত আনসার ব্যারাকে ও হামলা চালিয়ে আনসার কমান্ডারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে অস্ত্রসহ বিপুল সংখ্যক বুলেট লুট করার ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র মতে গত ২০১৬ সালের ১৩ মে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিঃ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকে হামলা চালিয়ে ১১টি অস্ত্র ও বিপুলসংখ্যক গুলি লুট করে নিয়ে যায় তারা। ওই সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আনসার কমান্ডার মোঃ আলী হোসেন (৫৫) নিহত হন। পরে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লুণ্ঠিত ওসব অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হলে ও আড়ালে রয়ে যায় অনেক অস্ত্রধারী। আটক করা হয়েছিল একাধিক পুরনো রোহিঙ্গা নেতাকে। এরপর বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই রোহিঙ্গাকে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তৎপরতায় আটক করা সম্ভব হয়েছিল বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহকারী রোহিঙ্গা নেতা শফিককে।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানে পরিত্যাক্ত ২টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান (এলজি) উদ্ধার করা হয়।  থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ুভিক্তিতে টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানে ২৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প (শালবাগান ক্যাম্প) এর জনৈক মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক, এফসিএন নং-২৭২৪৯৯, ব্লক- বি৪, ঘরনং-২৭এ এর গোসল খানার মাটি ভর্তি বস্তার নিচে তল্লাশি চালিয়ে বেওয়ারিশ ০২ টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান (এলজি) বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওসমান গণি জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম (পিপিএম) এর নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া-সার্কেল) মোঃ রাসেল (পিপিএম) সার্বিক তত্ববধানে ২৬ নং শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ০২ টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান (এলজি) জব্দ করা হয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।