ঢাকাশুক্রবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

নওগাঁয় ফ্রিজে বাসি-পচা খাবার রাখায় রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা

আজকের বিনোদন
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ । ৪২ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁয় রান্না ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ফ্রিজে বাসি-পচা খাবার রাখায় শহরের রুবির মোড়ে অবস্থিত পঞ্চ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এর মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। অভিযানে রেস্টুরেন্টটির রান্না ঘরে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজে বাসি-পচা খাবার মজুত, রান্নার কাজে ব্যবহৃত পচা রসুন, রান্না করা সবজি, রান্না করা গরুর মাংস, রান্না করা মুরগির মধ্যে পশম, পুড়া তেল, মসলার মধ্যে তেলাপোকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা সহ নানা অপরাধে রেস্টুরেন্টটি’র অস্বাস্থ্যকর সব খাবার জব্দ করা হয়। পরে রেস্টুরেন্ট এর মালিকের উপস্থিতিতে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুসারে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নওগাঁ জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামানিক বলেন, হোটেল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনার করে বলা হয়েছিল রান্না করা খাবারগুলোর উপরে নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট রান্না করার তারিখ সময় দিয়ে রাখতে। কিন্তু এই রেস্টুরেন্টের মালিক বাজার থেকে নোংরা পলিথিন কিনে এনে সেই পলিথিনের মধ্যে খাবারগুলো রেখে দিয়েছে। তার মধ্যে কোন তারিখ নেই আবার সব খাবার একই ফ্রিজে রাখা হয়েছে। নওগাঁতে এটিই তাদের প্রথম অভিযান উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্যের যে আইন রয়েছে খুবই শক্ত এবং জরিমানার পরিমাণও বেশি। সেজন্যই আমরা গত দু’ বছর ধরে বুঝানোর কাজ করে আসছি। পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট গুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হয়েছে। এখন থেকে কোন রেস্টুরেন্ট-এ এই সমস্ত অপরাধ ধরা পড়ে তাহলে আমরা তাদেরকে জরিমানার আওতায় আনবো।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষেও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বলেন, যে সকল রেস্টুরেন্ট মালিকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতন করার পরও কথা শুনছে না তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনছি। এরই ধারাবাহিকতায় এই রেস্টুরেন্ট-এ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়েছে। আগামীতেও ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।