ঢাকাসোমবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

নওগাঁয় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌণ হয়রানীর মিথ্যা মামলা’  শিক্ষিকা সহ দু’জন শিক্ষক বরখাস্ত

আজকের বিনোদন
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ ৩:৩৬ অপরাহ্ণ । ১০৫ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নওগাঁর সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) ওয়াহেদুল্লাহ প্রামাণিক এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ এনে ‘মিথ্যা’ মামলা করায় আফরোজা রুমা (৪৪) নামে এক শিক্ষিকা কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে এই মিথ্যা করতে সাহায্য করা সহ বিভিন্ন সময়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করায় একই বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক মোঃ মোরশেদ আলম কে ও রবিবার থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বরখাস্তকৃত দু’জন শিক্ষক হলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার সুলতানপুর উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা রুমা ও মোঃ মোরশেদ আলম।
নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠির সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার সুলতানপুর উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, জনাব আফরোজা রুমা, মোকাম নওগাঁ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত-১ মামলা নং-২৪/২০২৪ নারী ও  শিশু ট্রাইবুনাল মামলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয় এবং জেল হাজতে অবস্থান করায় তাঁকে বি এস আর পার্ট-১ এর ৭৩ নং বিধির নোট (২) মোতাবেক তাকে ১৪ ফেব্রুয়ারী (জেল হাজতে অবস্থানের দিন) হতে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
বরখাস্তের অপর চিঠির সূত্রে জানা যায়, মোঃ মোরশেদ আলম, সহকারী শিক্ষক, সুলতানপুর উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওগাঁ সদর, নওগাঁ এর বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ এর অনুচ্ছেদ (খ) এর অধীনে কার্যক্রম গ্রহণ করায় উক্ত বিধির ১২ ধারা মোতাবেক আদেশ জারির তারিখ হতে সরকারি চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এবিষয়ে জানতে বরখাস্তকৃত শিক্ষিকা আফরোজা রুমার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে জানতে চাইলে, বরখাস্তকৃত শিক্ষক মোঃ মোরশেদ আলম বলেন, বরখাস্তের চিঠি আমি দেখেছি। কিন্তু কি কারণে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা আমি বুঝতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার কথা এবং শিক্ষিকা আফরোজা রুমাকে মিথ্যা মামলায় সহযোগিতা করার কথাও তিনি অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই দু’জন শিক্ষক চাকুরীবিধি বহির্ভূত কার্যকলাপ করেছে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে ওপর শিক্ষককে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তার সম্মানহানী করেছে। এছাড়াও শিক্ষক আফরোজা রুমা জেল হাজতে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারী মামলা চলমান রয়েছে।