আশিকুর রহমান :-

নরসিংদীতে মাদক কারবারি ধরতে র‍্যাবের অভিযানে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ইমরান হাসান নামে র‍্যাব-১ এর এক সদস্য গুরুত্বর সহ আরোও দুইজন আহত হয়েছেন। র‍্যাব সদস্য ইমরান হাসান মাথায় দুটি কোপ এবং ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুত্বর আহত হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরবর্তীতে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আর বাকিরা হলেন, র‍্যাব সদস্য মাসুম বিল্লাল ও রায়হান বলে জানা গেলেও তাদেরকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে অন্যত্রে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা পৌঁনে ৮ টায় রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে র‍্যাবের পক্ষ থেকে বিস্তারিত এখনও কোনো জানানো হয়নি। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল নিলক্ষার কুখ্যাত মাদক কারবারি ইউনুস আলীকে ধরতে ঢাকার উত্তরাস্থ র‌্যাব-১ এর এএসপি তারিকুলের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দী গ্রামে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত মাদক কারবারি ইউনুস আলী (৪০) কে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিয়ে আসার সময় তার স্বজন ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা র‌্যাব সদস্যেদের ব্যারিকেড দিয়ে অতর্কিত হামলা করে তাদের কাছ থেকে আসামি ইউনুস আলীকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় দূর্বৃত্তদের ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে হাত ও মাথায় গুরুত্বর জখম হন র‌্যাব-১ এর সদস্য ইমরান হাসান। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে র‌্যাবের বহনকারী একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস ও কয়েকটি গাড়ি নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে আসলে উপস্থিত সাংবাদিকরা গাড়ির দিকে ছুটে গেলে র‌্যাব গাড়িটি ঘুড়িয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায়। এসময় গাড়ীর ভিতর আহত র‌্যাব সদস্যদের দেখা গেছে। পরে জানা গেছে, গাড়ীর ভিতর আহত র‌্যাব সদস্য মাসুম বিল্লাহ ও রায়হানসহ অন্যান্য র‌্যাব সদস্যরা ছিল।
এবিষয়ে নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল-আলম বলেন, র‍্যাব সেখানে মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে সংঘবদ্ধ মাদক কারবারীদের হামলায় র‍্যাব সদস্য আহতের খবর পেয়েছি, মোট আহতের সংখ্যা এখনি বলা যাচ্ছেনা। পরে ঢাকা উত্তরার র‌্যাব-১ এর এএসপি তারিকুল ইসলাম এর মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দেন।
বর্তমানে পুরো নিলক্ষায় র‍্যাবের পাশাপাশি ডিবি ও স্থানীয় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুরো এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে আতংক। পুরুষ শূন্য রয়েছে পুরো গ্রাম। অনেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছাড়া বলেও জানা যায়।