শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
শীত মানেই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে কঠিন পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাসে জবুথবু চারপাশ। এবারের শীতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। পৌষ মাস তেমন শীতের প্রকোপ না থাকলেও মাঘ শুরু হতেই দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। চলতি বছরের দ্বিতীয় শৈত্য প্রবাহ চলমান। গত দুইদিনের শীতের তীব্রতায় স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। যানবাহন চলাচলেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
শীত মানেই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে কঠিন পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাসে জবুথবু চারপাশ। এবারের শীতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। পৌষ মাস তেমন শীতের প্রকোপ না থাকলেও মাঘ শুরু হতেই দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। চলতি বছরের দ্বিতীয় শৈত্য প্রবাহ চলমান। গত দুইদিনের শীতের তীব্রতায় স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। যানবাহন চলাচলেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
ঘন কুয়াশার ফলে বিঘ্ন ঘটেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উঠানামার সিডিউলে। বুধবার (২২ জানুয়ারী) দুপুর ১ টা পর্যন্ত কোন ফ্লাইট অবতরণ বা উড্ডয়ন করেনি। ফলে ৪টি ফ্লাইটের শতাধিক ঢাকাগামী যাত্রী আটকা পড়েছে।
বিমানবন্দর সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ঢাকা থেকে সকাল ১০ টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে আসা ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্স এর ১৮৩ নং ইউএস বাংলা একটি ফ্লাইট অবতরণ করে সকাল ১১ টা ২৫ মিনিটে। বুধবার এই ফ্লাইটটিসহ ৪টি ফ্লাইট আসেনি। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় বিমান উঠানামায় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কায় ফ্লাইটটি ঢাকা থেকেই উড্ডয়ন করেনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানিয়েছেন, রাত থেকেই সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলা তথা উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। এর ফলে দৃষ্টিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০০ মিটার আর সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা ছিল মাত্র ১২ দশমিক শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আতাউর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০০ মিটার। কিন্তু বিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজন ন্যুনতম ১ হাজার ৫০০ মিটার। একারণে ফ্লাইট বিপর্যয় ঘটেছে। সকাল থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত কোন বিমান উঠানামা করেনি। সকাল ১১ টা ২৫ মিনিটে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট, ১২ টার এয়ার এস্ট্রার একটি, ১২ টা ৩০ মিনিটের বাংলাদেশ বিমান এবং বেলা ১ টায় নভো-এয়ারের একটিসহ মোট ৪টি ফ্লাইট এখনও আসতে পারেনি। তবে এই ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়নি। বেলা বাড়ার সাথে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটলে ফ্লাইটগুলো যথারীতি আসা-যাওয়া করবে।
বিমান না আসায় সৈয়দপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসা শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছে। এর মধ্যে কিছু যাত্রী ফিরে গেলেও অনেকে গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায়। এখবর লেখা পর্যন্ত (বেলা ১.৩০) তারা বিমানবন্দরেই অবস্থান করছেন। এতে তারা বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে শৈত্য প্রবাহের কারণে কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করছে। এতে কৃষিকাজসহ অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে। আর ছিন্নমূল মানুষেরা প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে দূর্ভোগে পড়েছে। সড়কে যানবাহন ও বাজারে লোক সমাগম অনেক কমে গেছে।