নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ এ বছরও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড করেছে। গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, এ পর্যন্ত ৫৩ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
গত বছরও প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৫৩ জন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান। কলেজটি থেকে প্রতি বছর উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শুধু মেডিকেল কলেজ নয়, রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। রেকর্ড পরিমাণ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ২৬২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৫ জন। এর মধ্যে এবার ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। এর একটি হচ্ছে সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত করে নাম দেওয়া হয় সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নামকরণ করে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান করা হয়। যার ফলস্বরূপ প্রতিবছরই শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য বয়ে আনে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ৫২ জন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের।
কলেজটিতে শিক্ষাদানের বিষয়ে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফলাফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৪ সালে ৫৩ জন, ২০২৩ সালে ৩৫ জন, ২০২২ সালে ৩৯ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।