ঢাকাশুক্রবার , ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

গাইবান্ধাতে জোড়া খুনের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

আজকের বিনোদন
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪ ২:১৩ অপরাহ্ণ । ২৯ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ধানের জমি বিদ্যুতায়িত করে স্বামী-স্ত্রী খুনের মামলায় মৃত্যুদন্ড পলাতক আসামি হাফিজুর রহমানকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃতআবুল হোসেনের ছেলে।
তাকে কুমিল্লার বুডিচং থানাধীন ইছাপুর বর্ষা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে প্রতিবেশি আব্দুল জলিলের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান চাষ করেন হযরত আলী।
২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে মামলার রায় পেয়ে আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে জমিতে ধান কাটতে যান।
ধান কাটার বিষয়টি জানার পর হযরত আলী গোপনে পাশের রাইচ মিল থেকে বিদ্যুতের তার দিয়ে পুরো জমি ঘিরে রাখেন।
ওই দিন সকালে আব্দুল জলিল লোকজন নিয়ে ধান কাটাতে জমিতে নামলে প্রথমে তছলিম উদ্দিন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন নামে একনারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে  উভয়ী মারা যান।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে মৃত তছলিম উদ্দিনের চাচা মফিজল হক সুন্দরগঞ্জ থানায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দেন।
এই নৃশংস হত্যাকান্ডের অপরাধীদের দোষ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ৩ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।
তাদের মধ্যে রায় ঘোষণার পর থেকে হাফিজুর রহমান পলাতক ছিলেন। অপর দুইজন পূর্ব থেকেই জেলা কারাগারে আটক আছেন।