মল্লিক জামাল বরগুনা প্রতিনিধি:-
বরগুনার তালতলীতে এক অন্তঃসত্ত্বার সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে নবজাতকের পিট কেটে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ডা.রুনা রহমান নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৭জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৯ টার দিকে
এমন অভিযোগ করেন ওই নবজাতকের স্বজন।
জানা গেছে, সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করতে শনিবার দুপুরে রাতে উপজেলার দোয়েল ক্লিনিকে ভর্তি হন তালতলীর বাসিন্দা সোহাগ এর স্ত্রী লিপি বেগম।
সন্ধ্যা ৬.টা৪০ মিনিটের সময় অপারেশন করেন দোয়েল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা.রুনা রহমান । সিজারে বাচ্চা প্রসব করানোর পরে নবজাতকের পিট কেটে ফেলার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ব্যাপারে নবজাতকের বাবা মো.সোহাগ বলেন, দোয়েল ক্লিনিকে স্ত্রীকে ভর্তি করি সিজারের জন্য। সিজার হওয়ার পর বাচ্চা নিয়ে আসার পর বাচ্চার কান্না কোন ভাবেই থামাতে পারছিনা।
প্রায় ১ ঘন্টা পর আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে কেবিনে দিলে কেবিনে অস্পষ্ট আস্তে করে আমার স্ত্রী লিপি বলেন, বাচ্চার পিট কেটে দিয়েছে এই জন্য কান্না থামছে না। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা সাথে সাথে মলম লাগিয়ে দিয়েছি। সকল অপারেশন শেষ করে আমরা বিষয়টা বলতাম।
ভুক্তভোগী নবজাতকের মা লিপি বেগম বলেন, দায়সারা অপারেশন করতে গিয়ে আমার ছেলের পিট কেটেছেন ডা.রুনা রহমান । আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা.রুনা রহমান
ক্যামেরার সামনে সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দিতে চায়নি।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মো.ফজলুল হক বলেন, খোঁজ নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য এর আগে পাথরঘাটায় সৌদি প্রবাসী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা.রুনা রহমানের হাতে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।