ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৭ অক্টোবর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দাবিদাবা জন্য নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন কর্মীরা

আজকের বিনোদন
অক্টোবর ১৭, ২০২৪ ২:২৯ অপরাহ্ণ । ৭ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শহীদুল ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ আরইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ,অভিন্ন চাকুরী বিধি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে নেত্রকোনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে জেলার ১০টি ও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ করে দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা।
এদিকে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা ও দাপ্তরিক পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মনির হোসেন চাকরি থেকে অবসান দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন) মাহফুজুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,সম্প্রতি আরইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে জড়িত থাকায় ১০ জন কর্মকর্তার নামে মামলা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে চারজন আজ সকালে আটক করা হয়। এর মধ্যে বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেনকে সকাল পৌনে নয়টার দিকে আটক করা হয়। এর পর থেকে নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মাসুম আহমেদ বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া না মানায় শাটডাউন চলছে। আজ সকালে বারহাট্টা কার্যালয়ের এজিএমকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে আমাদের ডেকেছেন। ওনার সঙ্গে সভা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএমকে আটক করেনি। আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার তাঁকে ছেড়ে দেয়।
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসা হয়েছে। আশা করা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।’