শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক প্রশস্তকরণে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক পূণ: নির্মাণের সময় স্থানীয়রা এই অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছেন নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে।
সারাদেশের মত এই উপজেলাতেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রধান সড়ক পূণ:নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সংশিস্নষ্টরা জানান, নওগাঁ জেলার নওগাঁ জেলা সদর থেকে আত্রাই, বদলগাছী, মহাদেবপুর আর মান্দা থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত ছয়টি সড়কে মোট ১৪ টি প্যাকেজে আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ১শ’ কোটি টাকা। নওগাঁর মহাদেবপুর অংশে ব্যয় হবে ১শ’ ২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে রয়েছে নওগাঁ-মহাদেবপুর-পত্নীতলা সড়কের চৌমাসিয়া (নওহাটা মোড়) থেকে আখেড়া পর্যন্ত, আখেড়া থেকে কালুশহর মোড় পর্যন্ত এবং কালুশহর মোড় থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতি প্যাকেজে ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। এছাড়া মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মাছের মোড় থেকে ছাতুনতলী নতুনহাট পর্যন্ত ০ থেকে ৯ কিলোমিটার। ইতো মধ্যেই প্রকল্প গুলোর অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে সবশেষ প্যাকেজ মাছের মোড় থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত সড়ক হবে ১৮ ফুট চওড়া। আর বিভিন্ন বাজার এলাকায় হবে ২৪ ফুট আরসিসি ঢালাই। এসব সড়কে প্রয়োজনীয় স্থানে নতুন ব্রিজ ও কালভার্টও নির্মাণ করা হবে। এই প্যাকেজের বিভিন্ন অংশে সড়কের আগের পাকা অংশ তুলে ফেলে নতুন করে মাটি ভরাট, বালি খোয়ার সোলিং দিয়ে কম্প্যাক করে তার উপর সিসি ঢালাই ও তার উপর আরসিসি ঢালাই দেয়া হলেও উপজেলা সদরের সড়কের আগের পাকা অংশ না তুলেই এবং নতুন করে মাটি ভরাট বা বালি খোয়ার সোলিং না দিয়েই আগের পাকা অংশের উপরেই নিম্নমানের সিসি ঢালাই দেয়া শুরু হয়েছে। এনিয়ে এলাকার জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উপজেলা সদরের এই অংশে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিপাতেই এই সড়কের উপর পানি জমা হয়ে থাকে। ফলে মাছের মোড় থেকে বকের মোড় হয়ে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত পুরো সড়কে অসংখ্য খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি সবরকম যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের এই বেহাল অবস্থা আমলে না নিয়ে সংশিস্নষ্টরা পুরোনো পাকা অংশের উপরই সিসি ঢালাই দিচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলার অন্যান্য স্থানে পাকা অংশ তুলে ফেলে নতুন করে কাজ করা হলেও উপজেলা সদরে তা না করে অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। তারা অবিলম্বে পুরোনো পাকা অংশ তুলে ফেলে নতুন করে সড়কের উন্নয়ন কাজ করার দাবি জানান।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর পত্নীতলা উপ-বিভাগের মহাদেবপুরের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী নুর আহমেদ জানান, এই সড়কের থিকনেস ভালো থাকায় এবং পানি নিস্কাশনের চেম্বার থাকায় এখানে পুরোনো পাকা অংশ তুলে ফেলার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু একই প্যাকেজের সিডিউলে দুই রকম কাজ কিভাবে হতে পারে তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। তিনি বলেন, সিডিউল মেনেই এখানে কাজ করা হচ্ছে।