ঢাকারবিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

কমলগঞ্জে শিকারীর ফাঁদে মুনিয়া ২৯টি পাখিই জবাই ও ৮টি পাখি জীবিত

আজকের বিনোদন
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ ২:০৬ অপরাহ্ণ । ৩২ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মো.সাইদুল ইসলাম (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে ৩৮টি তিলা মুনিয়া (Sealy-breasted Munia) পাখিসহ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টায় সময় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারাইবিল এলাকা থেকে ২৯টি পাখিই জবাই করা ও ৮টি পাখি জীবিত সহ মোট ৩৮টি তিল মুনিয়া উদ্ধার করা হয়। বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারীরা পাখি ধরার সরঞ্জাম রেখে পালিয়ে যায়।
বনবিভাগ সূত্র জানা যায়, গোপন সংবাদে ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারায়বিল এলাকা থেকে পাখি ধরার সরঞ্জাম জালসহ ৩৮টি মুনিয়া পাখি উদ্ধার করি। এসময় ২৯টি পাখিই জবাই করা ও ৮টি পাখি জীবিত ছিল। বনবিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি শিকারীর জাল ও পাখি রেখে পালিয়ে যায় বলে জানান বন বিভাগ।
স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী সালাহউদ্দিন শুভ জানান, ‘চা বাগানগুলোতে পাখির আনাগোনা বেশি। বিশেষ করে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়ে পাখিরা বেশি আসা যাওয়া করে। এখানে রয়েছে চা বাগান ও রাজকান্দি রেঞ্জ ফরেস্ট এলাকা। এসব জায়গায় পাখিদের প্রধান আবাস্থল। তবে এসব জায়গাকে কেন্দ্র করেই শিকারিরা ফাঁদ পেতে রাখে। তাতে ধরা পড়ে মুনিয়া ও অন্যান্য দেশি বিদেশী পাখিরা। পরে তা বিক্রি করা হয় স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায়। এভাবেই দিনে দিনে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ছে মুনিয়া পাখি সহ অন্যান্য পাখিরা। এই শীতের সময় এখানে হাজার হাজার অতিতি পাখিরা আসে। কিন্তু শিকারীরা তাদের ফাদঁ পেতে রাখে সবসময়। কিছুদিন আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান টিঁয়া পাখিসরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন। প্রায় সময় তিনি বিভিন্ন সময় পাখিসহ সরঞ্জাম আটকও করেন। তিনি বলেন, নিয়মীত এসব জায়গায় অভিযান অব্যাহত থাকতে হবে। তাহলে শিকারীরা কিছুটা হলেও বন্ধ করবে।
রাজকান্দি রেঞ্জের আদমপুর বিট কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, ‘রবিবার সকাল ৯টার দিকে ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারাইবিল এলাকা থেকে ২৯টি পাখিই জবাই করা ও ৮টি পাখি জীবিত সহ মোট ৩৮টি তিল মুনিয়া উদ্ধার করা হয়। জবাই করা ২৯টি তিলা মুনিয়া জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় ও ৮টি পাখিকে অবমুক্ত করা হয়। তখন শিকারিরা পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
এদিকে শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়মীত অভিযান করি এসব এলাকায়। বিভিন্ন সময় অভিযান করে পাখিসহ সরঞ্জাম উদ্ধার করি।