আরিফুজ্জামান আরিফ :
মহান একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথ ভাবে পালণ এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে “শার্শা উপজেলা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ”।এসময় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এ ছাড়াও বেনাপোল রেলস্টেশন রোড সংলগ্ন সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে দিনব্যাপি কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৮টায় পরিষদের সকল সাংবাদিকবৃন্দ র্যালি সহকারে শহীদ মিনারে পৌছায়। র্যালিটি বেনাপোল রেলস্টেশন রোড হতে শুরু করে বেনাপোল বন্দর এলাকা,বেনাপোল-যশোর মহাসড়ক সংলগ্ন বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে প্রায় ১ কিলোমিটার দুর পথ পাড়ি দিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শার্শার সাংবাদিকবৃন্দ।
একুশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন- “রাজধানীসহ সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার স্কীকার দিন দিন বেড়েই চলছে । এ নির্যাতনের স্কীকার হচ্ছেন, সৎ ও নির্ভীক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি কলম সৈনিকরাই। সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলেও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিক দের নানা হামলা, নির্যাতন ও হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো গনমাধ্যমের জন্য চরম অশনিসংকেত । এভাবে চলতে থাকলে, মুক্ত গণমাধ্যাম অচিরেই অধিনস্থ হয়ে যাবে। সাংবাদিকদের ওপর অযাচিত আক্রমন, সহিংস ঘটনার বিচারিক তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নির্যাতনের ঘটনা কমছে না।
সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা, এ কথা আজ নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সাংবাদিকদের উপর কাঙ্খিত এবং অনাকাঙ্খিত সকল নির্যাতনের অবসান ঘটুক, একুশে ফেব্রুয়ারীর এই মহান দিনে সকলের কাছে এই প্রত্যাশা করি”।
উল্লেখ্য,সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালণ কালে তারা প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্তৃক ভয়ভিতি হামলা-মামলা এবং নির্যাতিত হয়ে থাকেন। এ ছাড়াও সাংবাদিকরা সবসময় সমাজের কাছে অবহেলিত পাত্র হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। সৎ এবং নির্ভিক সাংবাদিকতায় ঐক্যের কোন বিকল্প নেয়।সে কারণে সকল সমস্যার সমাধান খুঁজতেই “শার্শা উপজেলা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ” এর জন্ম বলে এই দুই নেতা জানিয়েছেন।
র্যলিতে অংশ নেন যে সকল সাংবাদিকবৃন্দ বেনাপোল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল হক, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার আজিজুল হক, প্রতিদিনের কথার আনিছুর রহমান, এখন টিভির আবুল হোসেন, সমকালের সাজেদুর রহমান, আমার সংবাদের সাহিদুল ইসলাম শাহীন, যায় যায় দিনের জিএম আশরাফ, দৈনিক ভোরের ডাকের আশানুর রহমান আশা, লোকসমাজের আজিজুল ইসলাম, প্রতিদিনের সংবাদ মনির হোসেন, এসএ টিভির শেখ নাসির উদ্দিন, রানারের আরিফুজ্জামান আরিফ, আনন্দ টিভি আইয়ুব হোসেন পক্ষী,গ্লোবাল টিভির রাসেল ইসলাম, গ্রামের কন্ঠের জাহিদ হাসান, নাগরিক টিভির ওসমান গনি, এশিয়ান টিভির সেলিম আহম্মেদ রুপান্তর প্রতিদিনের শাহনেওয়াজ স্বপন, আলোকিত সকালের মাসুদ শেখ, বাংলাদেশ সমাচারের ইকরামুল হোসেন, দৈনিক স্পন্দনের ফটো সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ,দৈনিক আমার সময়ের রাশেদুজ্জামান রাসেল, দৈনিক নাগরিক ভাবনা পত্রিকার সুমন পারভেজ, দৈনিক দেশ প্রতিদিনের মারুফ হোসেন, আলোকিত সকালের কুরবান আলী, দৈনিক লাখো কন্ঠের আসাদুজ্জামান রিপণ, কলকাতা টিভির মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, দৈনিক অনির্বাণের তামিম হোসেন সবুজ, বাংলা টিভির আরিফুল ইসলাম সেন্টু, আমাদের অর্থনীতির শেখ মঈনুদ্দীন, গ্রামের কণ্ঠের আসাদুর রহমান আসাদ, জাতীয় অর্থনীতির স্টাফ রিপোর্টার সাইদুল ইসলাম, যশোর বার্তার লোকমান হোসেন রাসেল, একুশে সংবাদের জাকির হোসেন, রুপান্তর প্রতিদিনের মিলন কবির, বাংলা নিউজের জিসান আহম্মেদ রাব্বি, দৈনিক যশোরের জসিম উদ্দিন, খোলা কাগজের সাগর হোসেন, বাংলাদেশ বুলেটিনের রবিউল ইসলাম, জাতীয় বিজনেস ফাইলের মোশারেফ হোসেন মনা, সময় টিভির ক্যামেরামান শাওন হোসেন, তৃতীয় মাত্রার রায়হান সিদ্দিকী, নীল কন্ঠের নোমান খসরু সংগ্রাম, দ্যা মেইল বিডি ও আলোর সময়ের এবি এস রনি, প্রানের সংবাদের শাওন হোসেন, এস কে কামাল, গণকণ্ঠের রানা আহমেদ রুবেল শেখ ও জনি বিশ্বাস, মোহাম্মদ সংগ্রাম,দৈনিক ভোরের আওয়াজের খসরু নোমান সহ প্রমূখ সাংবাদিক গন।