ঢাকামঙ্গলবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Tanim Cargo
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় মুল্যবোধ রক্ষায় বদ্ধপরিকর-কক্সবাজারে ধর্ম উপদেষ্টা

আজকের বিনোদন
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫ ২:২৬ পূর্বাহ্ণ । ৯ জন
Link Copied!
দৈনিক আজকের বিনোদন সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় মুল্যবোধ রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে। মানুষ নামাজমুখী হলে সমাজের অপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে কমে যাবে।
সোমবার(১৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া বাজারে নবনির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অন্তর্বতীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড আ ফ ম খালিদ হোসেন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, মসজিদ পবিত্র ও উত্তম স্থান। যতবেশি মসজিদ নির্মিত হবে ততবেশি মুসল্লী তৈরি হবে। মানুষ যতবেশি নামাজের দিকে ধাবিত হবে সমাজ ততবেশি অপরাধমুক্ত হবে। নামাজ মানুষকে সকল ধরণের গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখে। মুসল্লিবিহীন মসজিদ কেয়ামতের লক্ষণ উল্লেখ করে তিনি মসজিদকে আবাদ রাখতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন মডেল মসজিদের মাধ্যমে দেশে ইসলামী আবহ সৃষ্টি হচ্ছে এবং এতে করে দেশে ধর্ম পালনের যে ঐতিহ্য তা আরো বেগবান হবে। এ ছাড়া মানুষের নৈতিকতার উজ্জীবন ঘটবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, মডেল মসজিদকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মযজ্ঞ আবর্তিত হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মডেল মসজিদ অনন্য ভূমিকা রাখবে। এই মসজিদ থেকেই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে পড়বে। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ করেন।
পেকুয়া উপজেলা মডেল মসজিদটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। স্থাপনাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এ মডেল মসজিদে একসাথে ৯৫০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবে। এরমধ্যে আলাদা প্রবেশপথসহ ১২০ জন মহিলার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,এ মসজিদে পুরুষ, মহিলা, অক্ষম ও বয়স্কদের ওযু ও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিসসহ ইমাম প্রশিক্ষণ, হজযাত্রী নিবন্ধন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, অটিজম কর্নার, এতিমখানা, মৃতদেহ গোসল, ইসলামিক লাইব্রেরি ও ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া, এখানে সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের আবাসন ব্যবস্থাসহ গেস্ট রুম, কনফারেন্স রুম ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান, চট্টগ্রাম গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একিউএম শাহজালাল মজুমদার ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন সজীব ও মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস-উজ-জামান। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,প্রশাসনের লোকজন ও স্থানীয় মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tanim Cargo
Tanim Cargo