শেখ মোঃ করিম বকসো,তাড়াশঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক কেজি আলু কিনতে গুনতে হচ্ছে দেড় কেজি চালের মূল্যের সমান দাম। বহুল ব্যবহৃত সবজি খ্যাত আলু নামক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যটির মূল্য এতো পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ক্রেতাদের নাগালেন বাইরে চলে গেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি স্বর্ণা চাউল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। অথচ প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। অর্থ্যাৎ দেড় কেজি চালর দামে কিনতে হচ্ছে এক কেজি আলু।
তাড়াশ পৌর বাজারে তরিতরকারী ক্রেতা আকবর বলেন, ছোট্র নাতি আলুর তরকারী ছাড়া ভাত খেতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে আলু কিনতে হচ্ছে, যদিও আলুর মূল্য অনেক বেশি। আমার ৬৫ বছরের জীবনে আলু এত দাম কখনও দেখিনি! এক সময় শুনতাম বেশী করে আলু খান ভাতের উপর চাপ কমান। এখন দেখছি পুরোই উল্টো, তবে কি এবার বলবে বেশী করে ভাত খান আলুর উপর চাপ কমান!
বাজারে আলু কিনতে আসা রহিম, আফসার, সোহাগ, মুকুল আশকেন, রবিউলসহ একাধিক ক্রেতা জানান, বাবার জীবনেও আলুর এমন দাম দেখিনি। এটা কোন স্বাভাবিক দাম হতে পারে না। এটা সিন্ডিকেট। সঠিক বাজার তদারকির অভাবে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার এমন অস্থিতিশীল হয়ে ওঠেছে। এই সিন্ডিকেটের ব্যবসায়ীরা বাজারে সব সময়ই কোন না কোন পন্যের উচ্চ দাম রাখবেই। প্রথমে ডিম, এরপর কাচাঁ মরিচ, পিঁয়াজ এখন আলুতে ভর করছে। জানিনা এর পর কোন পন্যে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের তরকারির পরিবর্তে মরিচ ডলা দিয়ে ভাত খেতে হবে!
উপজেলার নওগাঁ বাজারের আলু ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন জানান, মোকামে আলুর দাম বেশি, তাই বাধ্য হয়ে খুচরা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৭৫ টাকার কমে বিক্রি করতে পারছি না।
এ ব্যাপারে বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালিদ হাসান বলেন, তাড়াশ উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এরপরও দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত নেয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে।