দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় এক সপ্তাহ ধরে লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে আলু, ফুলকপি, শিম, শসা পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। এ ছাড়া রাঁধুনির কাজে ব্যবহৃত নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে আকাশচুম্বী। ভরা মৌসুমেও সবজি কিনতে এসে বিপাকে পড়ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তসহ কর্মহীন মানুষেরা।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে খানসামা উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পাকেরহাট কাঁচাবাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকে বেড়ে যাওয়া সবজির মধ্যে ফুলকপি ৫৫ থেকে ৬০, পটল ৪৫ থেকে বেড়ে ৫০, দেশি আলু ৬৫ থেকে বেড় ৭০, দেশি পেঁয়াজ ১৩০, রসুন ২০০ থেকে ২৫০, কাঁচামরিচ ১০০, বেগুন ৪৫, ধনেপাতা ৮০, শিম ৯০, বাঁধাকপি ৬০। তবে লাউয়ের দাম আগের থেকে কমেছে। বিভিন্ন শাক আগের মতোই কেনাবেচা হতে দেখা গেছে।
এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। সেই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সোনালী মুরগি প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি কক ও লেয়ার ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, গত কিছু দিন ধরেই বাড়তি যাচ্ছে সব ধরনের মাছের দাম। আজকের বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৩৫০থেকে ৫০০ টাকা, বাটা মাছ ২০০ টাকা কেজি।
সকালে বাজার করতে আসা ক্রেতা সলেমান আলী বলেন, ‘ভরা মৌসুমে সবজির দাম কমার কথা। অথচ যত দিন যাচ্ছে লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে সবজির েদাম।’
ভরা মৌসুমেও কেন সবজির দাম এত বেশি? এ বিষয়ে পাইকারি সবজি বিক্রেতা সাজিমুল ইসলাম বলেন, ‘মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই হঠাৎ আকস্মিক বৃষ্টিতে ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়েছে। যে কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, খানসামা উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলা গুলো থেকে সবজি সরাসরি চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাইরের ব্যবসায়ীরা কৃষকের ক্ষেত থেকেই আলুসহ সব ধরনের সবজি ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে পাইকারি বাজারেই বেশি দামে সব জিনিস বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে সেজন্য দাম চড়া।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজউদ্দিন বলেন, স‘রকারি নির্দেশনা মোতাবেক নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’