আশিকুর রহমান :-
নরসিংদীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব চুরি ও ছিনতাইয়ের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চালকরা।
১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে সাড়ে ১২টায় রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের শিমুলতলি মোড়ে বিল্লাল হোসেন (৩২) নামে এক বিভাটেক চালক এমন ঘটনার শিকার হোন। তিনি মরজালের জা বক্স বাড়ীর মৃত সফর আলীর ছেলে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা মোঃ আরমান মোল্লার প্রচেষ্টায় ছিনতাইকৃত বিভাটেকটি উদ্ধার করা হয়।
বিভাটেক চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, রাত ১২টার দিকে মরজাল ফিল্ড থেকে একজন যাত্রী নিয়ে শিমুল তলির মোড়ে আসার পর পথিমধ্যে ৩/৪ জন ছিনতাইকারী পথরোধ করে এবং গলায় ছুরি ধরে বিভাটেকটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন বের হয়ে আসলে এলাকাবাসী একজনকে ধরে ফেলে। তিনি আরও বলেন, আমি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। গত বছর ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা (কিস্তি) দিয়ে বিভাটেকটি ক্রয় করি। এই বিভাটেকই আমার পরিবারের একমাত্র সম্বল এবং আয়ের উৎস। আজ চেয়ারম্যান (আরমান মোল্লা) চেষ্টায় আমার গাড়িটি ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। গাড়িটি না পেলে আমি ছেলে-মেয়ে নিয়ে রাস্তায় বসে পড়তাম। দোয়া করি আল্লাহ যেন চেয়ারম্যানকে নেক হায়াত দান করেন (আমিন)।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোঃ আরমান মোল্লা বলেন, ঘটনা শুনেই আমি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করি। আটককৃত ছিনতাইকারীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক বিভাটেকটি উদ্ধার করি এবং উপস্থিত বিভাটেকের চালকের নিকট হস্তান্তর করি। তিনি আরও জানান, খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আটকৃত বকুল মিয়া পার্শ্ববর্তী শিবপুর উপজেলার চালতাকান্দি গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে। সে শিবপুর, মরজাল সহ আশপাশের এলাকায় চুরি করে বেড়াতো এবং নেশাখোর হিসেবে পরিচিত।