আশিকুর রহমান :-
নরসিংদীর রায়পুরায় সুমন হত্যাকে কেন্দ্র করে সুমন সমর্থকদের হামলায় প্রতিপক্ষের ৫ আহত গুরুত্বর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এসময় হামলাকারীরা বন্দুক, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এসময় তাঁরা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার মেথিকান্দা এলাকায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল ও তাঁর বাবা হযরত আলী ওরফে হরজুর উপর সুমন সমর্থক লেয়াকত আলী ওরফে লইক্কা মিস্ত্রির ছেলে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সেক্রেটারি বাছেদ মেম্বার এর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সুমন হত্যার মামলার আসামী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল, তাঁর পিতা হযরত আলী ওরফে হরজু এবং ছেলে টুটুল উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে নিজ এলাকায় আসেন। এর আগে গত ১৪ জুন শুক্রবার শ্রীরামপুর রেলগেইটে বাছেদ মেম্বারের নেতৃত্বে তারা হরজুর উপর আক্রমণ চালায়। এসময় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। এরই এর ধরে আজ শনিবার বিকালে বাছেদ মেম্বারের নেতৃত্বে অর্ধশত লোক একত্রিত হয়ে বন্দুক, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবিদ হাসান রুবেলের শ্বশুর বাড়ি সহ হরজুর বাড়িতে হামলায় চালায়। তারা হরজুকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। হরজুর সমর্থকরাও হামলার পাল্টা জবাব দেয়। পরে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষনিকভাবে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পলাশতলী এলাকার আবদুল আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৪৮) নামে একজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা, গত ২২ মে নির্বাচনী প্রচারনায় গিয়ে প্রতিপক্ষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল সমর্থকদের হামলায় নিহত হন অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সুমন মিয়া। এরপরই হযরত আলী ওরফে হরজুর সাথে লেয়াকত আলী মিস্ত্রি বাড়ির লোকজনের সাথে পূর্ব বিরোধটি বেড়ে যায়। এরই জেরে আজ সন্ধ্যায় উভয়ের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে লেয়াকত আলী ওরফে লইক্কা মিস্ত্রির ছেলে বাছেদ মেম্বারের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা মুহুর্মুহু গুলি ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় রুবেল সমর্থকদের উপর। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এবিষয়ে নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ধারনা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা যায়।