রাজশাহী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে ভোট চেয়ে বহিষ্কার হয়েছেন চার বিএনপি নেতা। তারা হলেন- তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম, উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। বহিষ্কারের কারণ হিসেবে সরাসরি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, কোনো ওয়ার্ড কমিটির নেতাকে বহিষ্কার করতে হলে ইউনিয়ন কমিটির সুপারিশ লাগে। ইউনিয়ন কমিটির কোনো নেতাকে বহিষ্কার করতে হলে উপজেলা কমিটির সুপারিশ লাগে। তবে গোদাগাড়ীর তিন নেতাকে বহিষ্কারের ক্ষেত্রে কোনোটিই মানা হয়নি। তারা এই বহিষ্কারের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক খান
রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার জানান, বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করার ঘটনায় তারা বিব্রত। সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক খান নৌকার প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বাকি তিনজন নেতা বিএনপির সব দলীয় কার্যক্রমে নিয়মিতভাবে অংশ নিচ্ছেন। তারা কয়েকদিন থেকে বিএনপির চলমান কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করছেন। তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়নি। তারা হোয়াটসঅ্যাপে রাজশাহী জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে একটি দরখাস্ত লন্ডনে পাঠাবেন। আশা করছেন— সেখান থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সংশোধন করা হবে।